দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ

যাকাত বিষয়ে সচেতনতা ও দক্ষ জনশক্তি তৈরীর উদ্দেশ্যে প্রতি মাসে মাসে আয়োজন করা হয় "প্রাতিষ্ঠানিক যাকাত ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব, চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়" শীর্ষক দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ যেখানে অংশগ্রহণ করেন সারা দেশ থেকে যাকাত প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী আলেম উলামাসহ নানা শ্রেনি পেশার মুসলিম ভাই ও বোনেরা।

ত্রান কার্যক্রম

জরুরী  খাদ্য, বস্ত্র, তাবু সরবরাহ (বিশেষ ভাবে সেহরী, ইফতারী, ঈদ সামগ্রী, কুরবানী গোস্ত বিতরণ)

যাকাত ভিত্তিক কর্মসংস্থান

কর্মক্ষম বেকার, গরিব যুবকদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে  পুজি, গরু, ছাগল, রিকশা, ভ্যান, সেলাই মেশিন, কৃষি ও শিল্প কাজের সরঞ্জামাদি ও কাঁচামাল সরবরাহ করা।

আমেলিন টীম

যাকাত ফাউন্ডেশ নের র য়েছে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত আমেলিন  টীম

তহিদ মিয়ার ২টি ছাগলই শেষ অবলম্বন

অষ্টগ্রাম উপজেলার খয়েরপুর গ্ৰামের হতদরিদ্র তহিদ মিয়ার টানাপোড়েনের সংসার। সংসারে তারা দুইজন স্বামী-স্ত্রী আর অসুস্থ শশুরের ঔষুধ ও চিকিৎসার বাড়তি খরচের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে দিন দিন অসহায় হয়ে পড়ে। প্রয়োজন একটু বাড়তি আয়ের, তখন অসহায় অবস্থা দেখে এগিয়ে আসেন যাকাত ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর মিডিয়া বিভাগের প্রধান সাংবাদিক তাজুল ইসলামের মাধ্যমে তহিদ মিয়াকে যাকাত ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে একটি মা ছাগল প্রদান করেন। ডিপ গোল্ডেন কালারের হরিনের মত ছাগল পেয়ে তহিদ মিয়া বেশ খুশি। ইদানিং ছাগী কালো রঙ্গের একটি বাচ্চা দিয়েছে। ভবিষ্যতে তহিদ মিয়া দুইটি ছাগল থেকে গর্ভে আরও কয়েকটা ছাগলের বাচ্চা আছে এগুলোকে মিলিয়ে আস্তে আস্তে বড় করে একটি ছাগলের খামার করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।

যাকাতের অর্থে স্বাবলম্বীকরণ প্রকল্প

কালকিনির আসমা বেগম এখন সাবলম্বী
=============================
আসমা বেগম (৩৫) মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার বাসিন্দা। ৪ বছর আগে দিন মজুর স্বামী আলতাফ হোসেন মারা গেলে ৪ সন্তান নিয়ে দুঃখের সাগরে হাবু ডুবু খাচ্ছিল। অতঃপর পাড়ি জমায় ঢাকায়। আশ্রয় নেন আফতাবনগর এর শহরতলীর ঝুপড়িতে। চাকুরী নেন রোজ ২০০ টাকা মজুরীতে একটা সবজির দোকানে। মাত্র ২০০ টাকায় ৫ জনের পরিবার খেয়ে নাখেয়ে কোন মতে চলছিল। নিজে সাবলম্বী হবার জন্য পুঁজি খুঁজতে ছিলেন। যাকাত ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর ভাইস চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল সোলায়মান স্যারের সহযোগিতায় যাকাত তহবিল থেকে ৫,০০০ টাকা পুঁজি প্রদান করলে আসমা নিজেই শুরু করেন সবজির দোকান। মাত্র ২ মাসের প্রচেষ্টায় আসমার সংসার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে খোজ খবর নিতে গেলে আসমা জানান, তার প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় হচ্ছে। তিনি এখন খেয়ে পড়ে সুখে আছেন। যাকাত ফাউন্ডেশন এর উপকারের কথা সে ভুলবেন না। ভবিষ্যতে তিনি যাকাত আদায় করবেন। ইনসেটে সবজি নিয়ে দোকানে বসে আছেন আসমা।

স্মার্ট টেইলারিং অ্যান্ড ফ্যাশন ডিজাইন প্রশিক্ষণ

যাকাত ফাউন্ডেশন  স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের আয়োজন করেছে নারীদের জন্য স্মার্ট টেইলারিং অ্যান্ড ফ্যাশন ডিজাইন প্রশিক্ষণ। এই প্রকল্পের আওতায় টেইলারিং, টাই-ডাই, ব্লক-বাটিক, হ্যান্ড এম্ব্রয়ডারি ও ক্র্যাফটিং, ফ্যাশন ডিজাইন (বেসিক) এবং বিজনেস ডেভলপমেন্ট (বেসিক) প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। কোর্স চলাকালে সার্বক্ষণিক একজন আলেমার তত্ত্বাবধানে দীনের মৌলিক বিষয়সমূহ শিক্ষা দেয়া হবে। তিন মাসব্যাপী আবাসিক কোর্সের মাধ্যমে আমরা এরকম কিছু নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে চাইছি, যাঁরা বিভিন্ন কারিগরি দক্ষতা অর্জন করে ইসলামী অনুশাসন মেনে নিজ এলাকার দুস্থ, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা ও নানা কারণে দুর্দশাগ্রস্ত নারীদের শেখাবেন, যেন তাঁরা ঘরে বসে উপার্জন করতে পারেন।

আমেলীন (যাকাত অফিসার) প্রকল্প

 আমেলীন (যাকাত অফিসার) প্রকল্প
আমেলীন অর্থাৎ যারা সাদকা আদায় করা, আদায় করা ধন সম্পদ সংরক্ষণ করা, সে সবের হিসেব নিকেশ করা, খাতাপত্রে লেখা এবং লোকদের মধ্যে বণ্টন করার কাজে সরকার বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিযুক্ত থাকে। ফকীর বা মিসকীন না হলেও এসব লোকের বেতন সর্বাবস্থায় সাদকার খাত থেকে দেয়া হবে। এখানে উচ্চারিত এ শব্দগুলো এবং এ সুরার ১০৩ আয়াতের শব্দাবলী خُذْمِنْأَمْوَالِهِمْصَدَقَةً (তাদের ধন সম্পদ থেকে সদাকা উসূল করো) একথাই প্রমাণ করে যে, যাকাত আদায় ও বণ্টন ইসলামী রাষ্টে্রর দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার অনুপুস্থিতিতে বেসরকারী ইসলামী সংস্থা বা বেসরকারী যাকাত প্রতিষ্ঠান আদায় ও বন্টন ব্যবস্থায় নিয়োজিত কর্মচারী, কর্মকর্তা ও  নির্বাহীগন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের নির্ধারিত বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধা পাবেন। 
এই খাতে আমরা ওয়াল্ড যাকাত ফোরাম ও বিভিন্ন ইসলামী সংস্থার ফতোয়া অনুযায়ী নিম্নরূপ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে:
কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা, অফিস ভাড়া,ইউটিলিটি বিল প্রদান করা।
কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষন ব্যয় বহন করা।
প্রশিক্ষনের মাধ্যমে গরীব শিক্ষিত বেকারদের কর্মোদ্যক্তা বানাতে পুঁজি সরবরাহ করা।


ইসলামিক দাওয়াহ কার্যক্রম

দ্বীন ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য সভা, সেমিনার, মাহফিল, মেলা, ক্যাম্পিং, রোড শো, ডায়ালগ, পোস্টারিং, মাইকিং, অডিও, ভিডিও, অ্যাপস, সাহিত্য, সাময়িকি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইফটিঊব, টুইটার লাইফ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা।
উলামা সমাবেশ, টকশো, মতবিনিময় সভা করা।
কুরআন শিক্ষার জন্য নুরানী মক্তব পরিচালনা, কুরআনের শিক্ষা প্রচারের জন্য হেরার নুর, শান্তির বারতা সাপ্তাহিক ও মাসিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করা।
ইসলামী সংস্কৃতির জন্য নুরের পাঠশালা ও নুর মহল পরিচালনা করা।
দাওয়াহ কার্যক্রম, জিহাদ—ফি সাবি—লিল্লাহি সহ চাহিদার আলোকে আমেলীন (যাকাত অফিসার)—দেও প্রস্তাবনা, শরীয়াহ বিশেজ্ঞ কমিটি ও বোর্ড অব ডাইরেক্টরস—এর অনুমোদন সাপেক্ষে আল্লাহর সšুÍÍষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গস্খহণ করা।

ইফতার বিতরণ-২০২৫

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার পরিবারকে ১ মাসের ইফতার দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে দেয়া হবে⸺২ কেজি ছোলা, ১ কেজি খেজুর, ১ কেজি মুড়ি, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল ও ১ কেজি চিনি।hhhh